করোনা থেকে সুস্থ হলেন রোনালদোর দুই সতীর্থ



করোনাভাইরাসের কারণে পরিস্থিতি অনেক থমথমে। একের পর এক খারাপ খবরে বিপর্যস্ত সবাই। এর মধ্যেই সুসংবাদ পেল জুভেন্টাস
     
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে ইতালির অবস্থাই সবচেয়ে বেশি খারাপ যেন। ইতালীয় সমাজের বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের পাশাপাশি ফুটবলাররাও করোনার হাত থেকে বাঁচতে পারেননি। করোনায় আক্রান্ত হওয়া ক্রীড়াতারকাদের মধ্যে জুভেন্টাসের ইতালীয় ডিফেন্ডার দানিয়েলে রুগানি ও ফরাসি মিডফিল্ডার ব্লেইজ মাতুইদি ছিলেন অন্যতম। অবশেষে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ক্লাবটি নিশ্চিত করেছে, দুজনই সুস্থ এখন। করোনা পরীক্ষায় দুজনের ফলাফলই 'নেগেটিভ' এসেছে।

আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জুভেন্টাস জানিয়েছে, 'প্রোটোকল অনুযায়ী দানিয়েলে রুগানি ও ব্লেইজ মাতুইদির করোনা-পরীক্ষা করা হয়েছিল। ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। দুজনই এখন করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত। ফলে দুজনের কাউকেই এখন আর হোম কোয়ারেন্টিনের মধ্যে না থাকলেও চলবে।'
মাসখানেক আগে এই রুগানিই এক অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডে নাম লিখিয়েছিলেন। ইতালিয়ান লিগে করোনায় আক্রান্ত ফুটবলার ছিলেন তিনিই। তাঁর কিছুদিন পর সতীর্থ মাতুইদিও আক্রান্ত হন। যদিও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি ফরাসি মিডফিল্ডারের মধ্যে। জুভেন্টাসে এই দুজন ছাড়াও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন স্ট্রাইকার পাওলো দিবালা। দিবালা আবার একবার সুস্থ হওয়ার পর দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হয়েছেন।
ইতালিতে খেলা ফুটবলারদের মধ্যে আটালান্টা, সাম্পদোরিয়া ও ফিওরেন্টিনার বেশ কিছু ফুটবলারও আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ফিওরেন্টিনার তিন তারকা জার্মান পেজ্জেলা, দুসান ভ্লাহোভিচ ও প্যাট্রিক কুত্রোনে সুস্থ হয়েছেন বলে গত সপ্তাহে জানিয়েছে ক্লাবটি।
  
গতকাল করোনা থেকে ফিরে আসার সুসংবাদ দিয়েছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক বেলজিয়ান মিডফিল্ডার মারুয়ান ফেলাইনিও। গত মাসের ২২ তারিখে ফেলাইনি জানিয়েছিলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। তিন সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে থাকার পর অবশেষে ছাড়া পেয়েছেন তিনি। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনের জিনান শহরের এক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন শ্যানডং লুনেং-এ খেলা এই তারকা।
আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকার বর্তমান ক্লাব শ্যানডং লুনেং জানিয়েছে, ‘ফেলাইনির স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়েছে। ও এখন সুস্থ। ওকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’

Post a Comment

0 Comments