মুমিনরা ইবাদতের ক্ষেত্রে অনেক স্মার্ট হয়


মুমিনরা ইবাদতের ক্ষেত্রে অনেক স্মার্ট হয়।কারন যখনই মুমিনের সামনে কোন আমলের সুযোগ আসে- স্মার্ট উপায়ে সে, সেটা করার চেষ্টা করে। এইতো পবিত্র শাওয়াল মাসের ১ তারিখে ঈদুল ফিতর পালন করার পর পরই আমাদের সামনে তিনটি ইবাদতের সুযোগ এসেছে। একই সাথে শাওয়ালের ৬টি সিয়াম, আইয়্যামে বীদ এর সিয়াম, সোম ও বৃহস্পতিবারের সিয়াম !!!
৬জুন (১৩ শাওয়াল) থেকে ১১জুন (১৮ শাওয়াল) =৬ দিন, শাওয়ালের ৬ রোজা,
৬জুন (১৩ শাওয়াল) থেকে ৮জুন (১৫ শাওয়াল) =৩ দিন, আইয়্যামে বীদের রোজা (আরবী মাসের মধ্য বেজোড় রোজা),
৮জুন (১৫ শাওয়াল) ও ১১জুন (১৮ শাওয়াল) = ২দিন,সোম ও বৃহস্পতিবারের(সাপ্তাহিক) রোজা,
একের ভিতর তিন !!! মিস যেন না হয় ইন শা আল্লাহ।
*উল্লেখ্য, নফল দিয়ে কাযা বা কাযা দিয়ে নফল আদায় হবেনা।
৬জুন (১৩ শাওয়াল) থেকে ১১জুন (১৮ শাওয়াল) =৬দিন। শাওয়ালের ৬ সিয়াম
ইবাদতের জগতে সলাতের পড়েই সিয়ামের গুরুত্ব। সকল ইবাদতের জন্য সওয়াব নির্দিষ্ট। একমাত্র সিয়ামের সওয়াব আল্লাহ সুবাহানুতায়ালা নিজে দিবেন। রমাদানের সিয়াম শেষ হবার সাথে সাথেই আমাদের সামনে শাওয়াল মাসের ৬টি সিয়ামের মাধ্যমে সারা বছর সিয়াম পালনের সুযোগ এসেছে। এ বিষয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে সহিহ হাদিস বর্ণিত হয়েছে। আবু আইয়ুব (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: "যে ব্যক্তি রমাদানের সিয়াম রাখল এরপর শাওয়াল মাসে ছয়টি সিয়াম রাখল সে যেন গোটা বছর সিয়াম রাখল।" [সহিহ মুসলিম, সুনানে আবু দাউদ, জামে তিরমিজি, সুনানে নাসায়ী ও সুনানে ইবনে মাজাহ]
শাওয়ালের ৬ সিয়াম ধারাবাহিকভাবে অথবা বিরতি দিয়েও রাখা যাবে। কারো যদি রমাদানের সিয়াম কাজা হয়ে থাকে, তবে প্রথমে তা আদায় করে নেবে- এটা উত্তম। সম্ভব না হলে শাওয়ালের রোজা রাখবে, পরে কাজা আদায় করবে। যারা পবিত্র রমাদানের যথাযথ কদর করেননি তাদের উচিত এখনই আল্লাহতায়ালার কাছে তওবা-ইস্তেগফার করে আল্লাহ তায়ালার রহমতের ছায়াতলে আশ্রয় নেওয়া।
#আইয়্যামে_বীদ (আরবি মাসের ১৩, ১৪, ১৫ তারিখ)
৬জুন (১৩ শাওয়াল) থেকে ৮জুন (১৫ শাওয়াল) = আইয়্যামে বীদের সিয়াম
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আ’নহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ “রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বাড়ীতে অবস্থানকালীন অবস্থায় এবং সফরকালীন অবস্থায়, কখনোই আইয়্যামে বীদের সিয়াম ছাড়তেন না।” [সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ২৩৪৫]
ক্বাতাদাহ ইবনে মিলহান রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ “রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে প্রত্যেক মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে সিয়াম রাখার জন্য আদেশ করতেন।” [আবু দাউদঃ ২৪৪৯, নাসায়ীঃ ২৪৩২]
৮জুন (১৫ শাওয়াল) ও ১১জুন (১৮ শাওয়াল) = সোম ও বৃহস্পতিবারের সিয়াম
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সর্বদা সোমবার এবং বৃহস্পতিবার সিয়াম পালন করতেন।
[সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ২৩৬৩]
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার আল্লাহ তা’আলার দরবারে আমল পেশ করা হয়। সুতরাং, আমার আমলসমূহ যেন সিয়াম পালনরত অবস্থায় পেশ করা হোক এটাই আমার পছন্দনীয়।
[জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৭৪৭]
পোস্টটি সবার সাথে শেয়ার করে অন্যকে জানিয়ে দিতে পারেন। চাইলে কপিও করতে পারেন। আল্লাহ উত্তম প্রতিদানদাতা।

Post a Comment

0 Comments